অপারেশন ছাড়াই গলবে কিডনির পাথর। শুধু একটি ফলের রসেই কিডনির পাথর দূর হবে! হ্যাঁ, ভুল দেখেননি।বিনা অপারেশনেই আধাকাপ লেবুর রসে কিডনির পাথর দূর হবে।
প্রতি বছর পৃথিবীতে ক্যানসারের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় কিডনির সমস্যায়। কিডনি সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ কিডনি স্টোন। অতিরিক্ত মাংস খেলেই বিপদ। কম পানি খেয়েছেন কী মরেছেন। কম সবজি খেলেও সমস্যা। বেশি নুন খাওয়া ক্ষতিকর। বংশগত কারণেও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা থাকে।
মাঝে মাঝে ডিহাইড্রেশন হলেও কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। ইউরিন ইনফেকশন হলেও কিডনিতে পাথর জমতে পারে। মাইগ্রেনের জন্য ব্যবহৃত টপিরামেট জাতীয় ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন বাড়লেও মারাত্মক বিপদ। কিডনির ভেতরের এই পাথরগুলো মূত্রনালির মাধ্যমে মূত্রথলিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। পাথর যখন সংকীর্ণ নালির মধ্যে দিয়ে যায়, তখন প্রচণ্ড ব্যথা হয়। কখনও কখনও নালিটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় অপারেশন ছাড়া পথ থাকে না।
কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব হাউস্টনের গবেষকরা বলছেন, লেবুর রসে হতে পারে মুশকিল আসান। লেবুর রসে হাইড্রক্সিসিট্রেট থাকে। এটা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টালের কারণেই প্রধানত কিডনিতে পাথর হয়।
গবেষকরা বলছেন, দিনে দুবার ৪ আউন্স পাতিলেবুর রস খেতে হবে। ৩২ আউন্স টাটকা লেমোনেডও খাওয়া যেতে পারে। ২ আউন্স লেবুর রসের সঙ্গে ৬ আউন্স পানি মিশিয়ে নিতে হবে। সকালে ব্রেকফাস্টের আগে এবং রাতে শোয়ার আগে লেবুর রস খেয়ে নিতে হবে।
শুধু কিডনির স্টোনই নয়, লেবুর রসে আরও অনেক উপকারিতা আছে।
১. শক্তি বাড়ায় লেবুর রস।
২. লিভার পরিষ্কার রাখে।
৩. ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লেবুর রস।
৫. ত্বক পরিষ্কার রাখে।
৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৭. মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করে।
৮. চোখ ভালো রাখে।
৯. দাঁতব্যথা কমায়।
১০. গর্ভবতী নারী ও গর্ভের শিশুর জন্য ভীষণ উপকারি।
১১. স্তন ক্যানসার সারাতে লেবুর রসের জুড়ি মেলা ভার।